বৃহস্পতিবার , ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে রূপালী

প্রকাশিত হয়েছে-

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ঘর সংসার করার পাঁচ বছর পরও নতুন করে যৌতুকের টাকা দিতে অসম্মতি জানায় স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন রূপালী খাতুন (২৩)। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের যতিন্দ্র নারায়ন গ্রামে। ঐদিনই নির্যাতিত নারীর বাবা আব্দুল খালেক মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে রূপালী খাতুন ও একই উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের যতিন্দ্র নারায়ন গ্রামের বাক্কী মিয়ার ছেলে সুলতান মিয়া(২৯) এর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্মও হয়েছে। দীর্ঘদিন ঘরসংসার করার পরও সুলতান মিয়া রূপালী খাতুনকে তার বাবার বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু টাকা আনতে রাজি না হলে ঘটনার দিন দুপুরে সুলতান মিয়া, তার মা জয়ফুল বেগম (৪৭) ও বাবা বাক্কী মিয়া সহ রূপালী খাতুনকে বেদম মারধর করে।

নির্যাতনের শিকার হয়ে রূপালী খাতুনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম ও ডান চোখের নিচে গুরুতর জখম হয়। এক পর্যায়ে মুমূর্ষু হয়ে পড়লেও চিকিৎসা নিতে বাধা প্রদান করে বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। পরে বিকেলে সংবাদ পেয়ে রূপালী খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজন সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। কোন তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

নির্যাতিত রূপালী খাতুন জানান, এর আগেও অনেকবার এরকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। সামান্য কোন কিছুর কমবেশি হলেই শাশুড়ির কাছে শারীরিক ও মানসিক টর্চারের শিকার হন তিনি। একাধিকবার শালিশ বৈঠক করা হলেও কিছুতেই মুক্তি মেলেনি রূপালী খাতুনের। তিনি এসবের প্রতিকার চেয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরামুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নির্যাতিতার খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।