কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ১৬.০৭.২২
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা কর্তৃক প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের মেয়েকে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামে। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় চঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আট মাস আগে ওই গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৫) এর বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী গ্রামের জাহানুর ইসলাম (৩০) এর সাথে। জাহানুর ঢাকায় থাকার সুবাদে আয়েশা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো। বাবার বাড়িতে থাকাকালীন প্রতিবেশী বড় চাচা রেজাউল ইসলাম রেজার(৩২) এর লালসার শিকার হন। রেজাউল ইসলাম রেজা ওই গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আয়েশা খাতুনকে ডিভোর্স দিয়েছেন স্বামী জাহানুল ইসলাম। ডিভোর্সের পরে ১৬ জুলাই বিকেলে রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলে রেজাউলের বাড়ির লোকজন গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী থানার মুখে রওনা হলে স্থানীয় দেওয়ানী বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়ার কথা বললে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেয় আয়েশা খাতুন।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে রয়েছে।
আয়েশা খাতুন এর মা আরজিনা বেগম জানান, আমার মেয়েটির যে জায়গায় বিয়ে হয়েছিল সেখানে সুখের সংসার করছিল। কিন্তু লম্পট রেজাউল আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার অজান্তে আমার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে পেটে বাচ্চা এনেছে। এ ঘটনা জেনে আমার জামাই আমার মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়েছে, এখন আমার মেয়ের পেটে দেড় মাসের বাচ্চা এ বাচ্চার পরিচয় কি হবে? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আয়েশা খাতুন এর বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, আমি গরিব মানুষ অতি কষ্টে আমার মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি, কিন্তু রেজাউল আমার মেয়েটির এই সর্বনাশ করল আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আয়েশা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল আমাকে বিভিন্ন ধরনের উত্ত্যক্ত করত, আমি বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আমার সাথে জোরপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক করে, যার ফলে রেজাউলের সন্তান এখন আমার পেটে আমিও এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান,ঘটনাটি আমি শুনেছি এ ঘটনায় স্বামী মেয়েটিকে তালাক দিয়েছে বিষয়টিতে আইনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না কোন প্রকার অভিযোগ পাইনি।
Devoloped By WOOHOSTBD
আপনার মতামত লিখুন :